হাওজা নিউজ এজেন্সি: বাকায়ি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ—এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি এসব অভিযোগকে “ভিত্তিহীন ও অমূলক” বলে অভিহিত করেন।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর উপ-মহাপরিচালকের সাম্প্রতিক তেহরান সফরের পর সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এসব আলোচনায় ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হওয়া হামলার প্রেক্ষিতে নতুন সহযোগিতা কাঠামো প্রণয়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
বাকায়ি বলেন, “আলোচনা হয়েছে, এবং আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে,”
ইউরোপের তিন দেশ কর্তৃক জাতিসংঘে পাঠানো তথাকথিত “স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম” সম্পর্কিত চিঠির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপের এ ধরনের টুল ব্যবহারের কোনো অধিকার নেই এবং এ ধরনের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি।
বাকায়ি অভিযোগ করেন, ওই তিন ইউরোপীয় দেশ নিজেরাই পরমাণু চুক্তির আওতায় তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। একইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল কর্তৃক ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে চালানো হামলারও কোনো নিন্দা জানায়নি।
তিনি বলেন, “তারা তাদের অবস্থানের যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিতে পারেনি,”
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো কেবল ইরানের পরমাণু ইস্যুতে একটি “বিধ্বংসী ভূমিকা” বজায় রাখতে চায় এবং জায়নিস্ট স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করছে।
তিনি মন্তব্য করেন “আমরা কখনো তাদের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করিনি। তবে তাদের স্পষ্ট করতে হবে—তারা কি গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে চায়, নাকি নেতিবাচক ভূমিকা পালন করতে চায় যা জায়নিস্ট স্বার্থ রক্ষা করে,”
ভবিষ্যৎ আলোচনার প্রসঙ্গে মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, ইরানি কর্মকর্তারা ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। তবে নতুন আলোচনার কোনো তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
আপনার কমেন্ট